Sunday, February 15, 2015

" আজ একটা ব্যাপার realize করলাম। আমি আগে অনেক ভাবতাম যে কেন ছেলেমেয়েরা এক সম্পর্ক থেকে আরেক সম্পর্কে এতো ডিগবাজি খায়। আসলে শুধু ছেলেমেয়েরা না, বড় মানুষরাও। বড় মানুষরা in fact আরও বেশী।
ে ২৪ ঘণ্টা কি কারো প্রশংসা করে যাওয়া সম্ভব? সে রবীন্দ্রনাথ হলেও তো সম্ভব না।
তাই কিছুদিন পর যখন আমাদের আরেকটা নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হয়, সে যখন আমাকে চিনতে শুরু করে আমার ছোট ছোট বিষয়গুলো তাকেও মুগ্ধ করে এবং যথারীতি সেও আমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ষষ্ঠমুখ সব হয়। আমাদের তখন স্বভাবতই মনে হয়, "আরেহ! এই নতুনজন তো আমাকে বেশি care করছে।" আর তখনি আমরা ডিগবাজি দেই। কারন দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সত্য - মানুষ নিজেকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসে। তাকে যে ভালবাসে সেও তাকেই ভালবাসে। সমাধান কি?
সমাধান হল - মন খুলে, হৃদয় খুলে, দরজা-জানালা সব খুলে প্রশংসা করে যান। শুধু একজন না, দুইজনই, সমানভাবে। মিথ্যে প্রশংসার প্রশ্নই আসছে না কারন যদি মিথ্যে প্রশংসা করতে হয় তাহলে ডিগবাজিই উত্তম। আমি বলছি express করার কথা।
আচ্ছা এটার তো একটা সমাধান হল। কিন্তু যদি এমন হয় - একজন introvert আর আরেকজন extrovert? একজন extreme introvert আর আরেকজন extreme extrovert? একজন ভালোবাসা প্রকাশই করতে পারে না, আর আরেকজন পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখে ফেলে? Then you are in serious trouble.
মানুষের basic কিন্তু বদলায় না। তাই যখন দুইজন introvert একসাথে থাকবে, তারা বুঝবে যে আমার partner আমাকে ভালবাসে কিন্তু সে আমার মতোই অরকম নাটকীয়তা পারে না। কিন্তু একজন extrovert ভাববে, "আমি তো কত creatively ভালবাসি, সে কেন পারবেনা? তাহলে কি সে আমাকে ভালইবাসে না?"
হ্যাঁ, বিপরীত চরিত্রের প্রতি আমাদের আকর্ষণ অদম্য এবং আজীবন কিন্তু কষ্টটাও কিন্তু অবধারিত। তাই সবার প্রতি পরামর্শ - নিজের সাথে কিছুটা মিল আছে এমন মানুষকে বিয়ে করুন। আকাশ আর মাটি কোনদিন মিলে নাই, মিলবেও না। মেলানোর চেষ্টা করতে গেলে শুধু দিগন্তের মিথ্যে রেখার পিছনেই ছুটবেন......
আর আপনি উত্তর মেরু যদি দক্ষিন মেরুর প্রেমে পড়েই যান, তাইলে আর কি... ঠেলা সামলান। "



No comments:

Post a Comment